3.1 কোষ বিভাজন এবং তার প্রকারভেদ (Cell Division and its Classifications)

নবম-দশম শ্রেণি (মাধ্যমিক) - জীববিজ্ঞান (পুরানো সংস্করণ) - কোষ বিভাজন | NCTB BOOK
680
Summary

প্রতিটি জীবদেহ কোষ দিয়ে তৈরি এবং একটি কোষ দিয়ে জীবনের শুরু হয়। কোষের বিভাজন জীবদেহের একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য।

  • এককোষী জীব: একটিমাত্র কোষ দিয়ে গঠিত, যেমন ব্যাকটেরিয়া, অ্যামিবা ইত্যাদি। এদের বিভাজনের মাধ্যমে নতুন এককোষী জীব উৎপন্ন হয়।
  • বহুকোষী জীব: একাধিক কোষ দিয়ে গঠিত, যেমন মানুষ, বট গাছ, তিমি মাছ ইত্যাদি।

বট গাছের উৎপত্তিও এককোষী নিষিক্ত ডিম্বাণু থেকে হয়। কোষ বিভাজনের মাধ্যমে পুং ও স্ত্রী গ্যামেট সৃষ্টি হয়, যা নতুন প্রজন্মের জন্ম দেয়। জীবের বৃদ্ধি এবং প্রজননের জন্য কোষের সংখ্যা বৃদ্ধি হয়।

জীবদেহের প্রধান দুইটি কোষ বিভাজন প্রক্রিয়া হল: মাইটোসিস (Mitosis) এবং মিয়োসিস (Meiosis).

প্রতিটি জীবদেহ কোষ দিয়ে তৈরি। একটিমাত্র কোষ দিয়ে প্রতিটি জীবের জীবন শুরু হয়। বিভাজনের মাধ্যমে কোষের সংখ্যাবৃদ্ধি জীবদেহের একটি স্বাভাবিক এবং অতি গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য। কোনো কোনো জীবের দেহ একটিমাত্র কোষ দিয়ে গঠিত, এদের বলা হয় এককোষী (unicellular) জীব, যেমন ব্যাকটেরিয়া, অ্যামিবা, প্লাজমোডিয়াম ইত্যাদি। এককোষী জীব বিভাজনের মাধ্যমেই একটি থেকে অসংখ্য এককোষী জীব উৎপন্ন করে। আবার অনেক জীব একাধিক কোষ দিয়ে গঠিত। এদের বলা হয় বহুকোষী (multicellular) জীব। মানুষ, বট গাছ, তিমি মাছ ইত্যাদি জীব কোটি কোটি কোষ দিয়ে গঠিত। বিশালদেহী একটি বট গাছের সূচনাও ঘটে একটি মাত্র কোষ (জাইগোট বা নিষিক্ত ডিম্বাণু) থেকে। এককোষী নিষিক্ত ডিম্বাণু থেকে কোষ বিভাজন প্রক্রিয়ায় একসময় কোটি কোটি কোষের একটি পরিণত মানুষের সৃষ্টি হয়। আবার কোষ বিভাজনের মাধ্যমেই পুং ও স্ত্রী গ্যামেট সৃষ্টি হয়ে নতুন প্রজন্মের জন্ম হয়। জীবের বৃদ্ধি ও প্রজননের উদ্দেশ্যে কোষ বিভাজনের (cell division) মাধ্যমে কোষের সংখ্যার বৃদ্ধি ঘটে থাকে।

 জীবদেহের দুইটি গুরুত্বপূর্ণ কোষ বিভাজন প্রক্রিয়া হচ্ছে, মাইটোসিস (Mitosis) এবং মিয়োসিস (Meiosis)।

Content added By
Content updated By
Promotion
NEW SATT AI এখন আপনাকে সাহায্য করতে পারে।

Are you sure to start over?

Loading...